শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জের ধরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।
শনিবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া বিস্ফোরণের শব্দ রবিবার বিকাল সাড়ে ৪ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ।
এপরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কমপক্ষে ৫০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ সহ আহত রয়েছেন।
বিজিবির কক্সবাজারস্থ ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল আশরোকি মিয়ানমারের বিজিপির কত সদস্য পালিয়ে এসেছেন তা নিশ্চিত করেননি।
তিনি বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সাথে রাত থেকে তুমুল যুদ্ধের মধ্যে কয়েকজন বিজিপি সদস্য প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেছে। এদের বিজিবির ঘুমধুম সীমান্ত বিওপিতে রাখা হয়েছে। বিজিপি সদস্যদের অস্ত্র ও গুলি বিজিবির কাছে জমা রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবির পক্ষে প্রেস বিফ্রিং করার কথা থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সাড়ে ৪ টা) প্রেস বিফ্রিং করা সম্ভব হয়নি।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে এ মূহুর্তে সীমান্তের কাছা-কাছি তুমুল লড়াই চলছে। ওখানে বিস্ফোরিত গোলা-বারুদের শব্দের কারণে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা। ফলে প্রেস বিফ্রিং বিলম্ব হচ্ছে।
বিজিবির পক্ষে কত সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তা এ পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি। তবে সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০ জন আশ্রয় নিয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ সহ আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি বিজিবি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply